• ঢাকা

  •  রোববার, মে ৫, ২০২৪

জেলার খবর

তাড়াশে জিকেএস জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

 আপডেট: ২০:১২, ৪ মে ২০২৩

তাড়াশে জিকেএস জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধবপুর জি কে এস জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম ও প্রধানশিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মোঃ আকতার হোসেন-সহ এলাকার কয়েকজন বুধবার (৩ মে) সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগপত্রের অনুলিপি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রেসক্লাবে দিয়েছেন। 

এলাকার তথ্য অনুযায়ী, তাড়াশ উপজেলার মাধবপুর জি কে এস জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই দুটি পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে যাতে নিয়োগ না করতে পারে তাই এ নিয়োগ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারী ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজশে অর্থ লেনদেন, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে দুইটি পদে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম করছেন। 

ম্যানেজিং কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে কোনো কিছুই অবগত করেননি। দুইটি পদে ১৮ জন আবেদনকারী থাকলেও তাদেরকে নিয়োগ পরীক্ষার চিঠিও দেওয়া হয়নি। এবং আমরা গোপন সূত্রে সংবাদ পাই ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার ছুটির দিন থাকলেও গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উক্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিয়োগের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায় তাদেরকে এলাকায় লোকজন নিয়োগ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম ও কিছু সন্ত্রাসী এলাকার লোকজনকে মারপিট করে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ বলেন, 'আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলি। পরে প্রাথমিকভাবে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছি।'

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হবে। তাছাড়া এই দুটি পদের জন্য অধিক প্রার্থী আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
 
তিনি আরো বলেন, 'বৃহস্পতিবার সকালে আমি এবং সভাপতি আমাদের প্রতিষ্ঠানে বসে আছি এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন প্রতিষ্ঠানে এসে নিয়োগের বিষয় জিজ্ঞেস করতেই দুই পক্ষের ভিতরে হাতাহাতি হয় এবং এলাকার লোকজন আমাদের প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।'
 
নিয়োগ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম জানান, একটি মহল স্কুল এবং কমিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফকির জাকির হোসেন বলেন, 'নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তবে ছুটির দিনে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।' 

মে ৪, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: