• ঢাকা

  •  রোববার, মে ৫, ২০২৪

জেলার খবর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ’ বিষয়ক কর্মশালা

নিউজ ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১৯:৩০, ৯ আগস্ট ২০২৩

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ’ বিষয়ক কর্মশালা

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ’ বিষয়ক দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট স্মরণে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করে। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ১০ম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে উপাচার্য বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে আমাদের চেতনাকে শাণিত করার লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে থাকছে অথচ এই দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। বিশ্বের কোন দেশে এমন লোকের স্থান হবেনা। আমেরিকায় বাস করে আমেরিকার বিরোধিতা করলে নিশ্চয় সে সেদেশ থেকে বিতাড়িত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। দীর্ঘ তেইশ বছর আমরা মার খেয়েছি, নানা অত্যাচার সহ্য করেছি। এরপর ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। ২৫ মার্চ কালরাতে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে প্লেনে করে ভারি ভারি অস্ত্র এনে এদেশের ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্মমভাবে গুলি চালায়। অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে তারা তাদের অপারেশন চালায়। তারা প্রথমে পুলিশ এবং ইপিআর এর উপর আক্রমণ চালায়।

প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন এবং তিনি মুকুটহীন রাজা বা নেতায় পরিণত হলেন। কারণ ১৯৭০ সনের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও তাঁকে ক্ষমতায় বসানো হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানো হলো। তাঁর জন্য কবর পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো তাঁর জীবনের থেকেও এদেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। অথচ এদেশের কিছু নরপিশাচ সেই মহান নেতাকে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপরেই ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়।

৭১ এর চেতনাকে মুছে ফেলার লক্ষ্যেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। সেইসময় কারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তা জানতে হলে সেসময়ের সংবাদপত্রগুলো দেখলেই পাওয়া যাবে। জামায়াতে ইসলামীর দৈনিক সংগ্রাম এবং ছাত্র শিবির কর্তৃক প্রকাশিত সোনার বাংলায় তাদের কর্মকাণ্ডগুলো প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময়ের পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিষয়েও তথ্য রয়েছে। 

প্রশিক্ষল কর্মশালার রিসোর্স পার্সন হিসেবে আলোচনা করেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এ. কে. এম আবদুর রফিক। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। 

আলোচনাসভায় সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. সাহাবউদ্দিন।

আগস্ট ৯, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: