• ঢাকা

  •  রোববার, মে ৫, ২০২৪

জেলার খবর

কাজে লাগছে না ১৩৬টি প্রাথমিক স্কুলের বায়োমেট্রিক মেশিন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কাজে লাগছে না ১৩৬টি প্রাথমিক স্কুলের বায়োমেট্রিক মেশিন

ছবি: সময়বিডি.কম

সিরাজগঞ্জ: উদ্দেশ্য ছিল যথাসময়ে শতভাগ শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করা। আর এজন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর স্পিল প্রকল্প থেকে যন্ত্রটি কেনা বাবদ ব্যয় নির্বাহ করা হবে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বে যন্ত্রটি কিনে নেবে। সেটা কেনাও হয় কিন্তু বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপনের পর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরার মেশিনগুলো বর্তমানে শোভা বাড়ালেও প্রাতিষ্ঠানিক কোন কাজে আসছে না। ফলে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও নজরদারির অভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয়ে পাশাপাশি মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, আমাদের উপজেলাতে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে পূর্ণ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে দেওয়া বিলপত্রে ডিভাইস, ডোমেইন, হোস্টিং, সিম ও বিভিন্ন ইস্যুতে অর্ধেক টাকাই নয়ছয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বিবরণীর অনেক কিছুই এখনও অনেক বিদ্যালয় বুঝে পায়নি। ইন্টারনেট বাবদ বাৎসরিক চার্জও নেওয়া হয়েছে স্কুল থেকে। অথচ ইন্টারনেট সংযোগই দেওয়া হয়নি। যা শুভাংঙ্কের ফাঁকি। 

এদিকে তাড়াশ উপজেলার দোবিলা-দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ ইউসুফ বলেন, উপজেলায় সব স্কুলে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে। কিন্তু বেশিভাগ মেশিনের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ায় আপাতত হাজিরা বন্ধ আছে। আর এ অবস্থা শুধু সেখানেই নয় প্রতিটা স্কুলেই বায়োমেট্রিক মেশিন আছে কিন্তু এর কোন কার্যকারিতা নেই।

আবার তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আইয়ূবুর রহমান রাজন জানান, আমরা যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক মেশিনটি লাগিয়েছি, তাঁদের সম্পূর্ণ কাজ শেষ না হতেই করোনা মহামারী আসে। আর তখন সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রথমের দিকে নতুন নতুন যে মেশিন নষ্ট হয়েছিল তখন সেগুলো পরিবর্তন করে দিলেও এখন ওই প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় আমরা কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। এতে কার্যত বায়োমেট্রিক মেশিনগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

বায়োমেট্রিক মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শুভ'র ব্যবহৃত (০১৭১২-১৮২৭২৭) মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের বায়োমেট্রিক মেশিন সচল থাকলেও কিছু বিদ্যালয়ে মেশিনের সমস্যা আছে। আর সফটওয়্যার ইনস্টল করার কথা সেটা অনেক স্কুলেই করেনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: