• ঢাকা

  •  শনিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

অপরাধ

প্রেমিককে নিয়ে প্রাক্তনকে হত্যা, বাবাসহ গ্রেপ্তার ৩

সুজিত দাস, বিভাগীয় প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১১:৫২, ১২ নভেম্বর ২০২৪

প্রেমিককে নিয়ে প্রাক্তনকে হত্যা, বাবাসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরে অপহরণের এক সপ্তাহ পর শিক্ষার্থী সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রেমিকার বাবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে জেলা শহরের সজবরখিলা মহল্লার একটি বাড়ি থেকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রেমঘটিত কারণে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

শেরপুর পৌর এলাকার বারাকপাড়া নীমতলার নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন শেরপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই কলেজের শিক্ষার্থী শ্রীবরদী উপজেলার কাউনের চরের আজিম মাস্টারের মেয়ে আন্নার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুমনের। 

আন্না এরপর সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আন্নাকে সুমন বিয়ে করতে চাইলে রবিন বাধা দেয়। একপর্যায়ে সুমনকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন রবিন ও আন্না। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পরিকল্পনা করে গত ৪ নভেম্বর শহরের বাগরাকসা কাজিবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে অজ্ঞাতদের সহযোগিতায় সুমনকে অপহরণ করেন আন্না ও রবিন। পরে তাকে হত্যা করে রবিনদের সজবরখিলার বাসায় পুঁতে রাখা হয়। 

এ ঘটনায় সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর ভোরে আন্না ও তার বাবা আজিম মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রবিনের স্বীকারোক্তির পর এদিন রাত ১টার দিকে রবিনদের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে, আমি খুনীদের ফাঁসি চাই।’

এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন এমন চাওয়া সুমনের কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে মরদেহ শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’ 

শেরপুর পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এসকেডি/এবি

মন্তব্য করুন: