পাকিস্তানে জোর করে মেয়েদের ধর্মান্তর করে বিয়ে বন্ধ করার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অল্পবয়সী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তর করে বিয়ে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পাকিস্তানে বিবাহের রিপোর্টে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ। তারা এই প্রথা বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য দেশীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এই কাজগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জোরপূর্বক এবং বাল্যবিবাহ, অপহরণ এবং পাচার নিষিদ্ধ করার আইন গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে এবং নারী ও শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।
তবে, জাতিসংঘের বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এবং বিদেশি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, হিন্দু ও খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু ধর্মের তরুণী নারীদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিয়ে দেওয়া পাকিস্তানে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা।
প্রতিবছর পাকিস্তানে এরকম শত শত ঘটনা ঘটে থাকে। ভুক্তভোগীরা মূলত দরিদ্র পরিবার এবং নিম্নবর্ণের।
প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানে ২ শতাংশ হিন্দু এবং ১.৫ শতাংশেরও কম খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বাস করে।
মূলত ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর চাপের কারণে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান সরকার।
জাতিসংঘেরএই বিবৃতিতে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য ন্যায্য বিচারের চলমান অভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
জানুুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: