• ঢাকা

  •  শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

সাহিত্য-সংস্কৃতি

শাহজাদপুরে নানা আয়োজনে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৯ মে ২০২৩

শাহজাদপুরে নানা আয়োজনে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সিরাজগঞ্জ: দিনব্যাপী কবিতা, গান ও নৃত্যর মাধ্যমে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিশীলতার নানা দিক স্মরণ করেন ভক্তরা। তাঁর ১৬২তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়িতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালা।

সোমবার (৮ মে) সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজন এই অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামছুল হক টুকু।

জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন - শাহজাদপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান।

এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনো দেশ বা জাতির সম্পদ নয়। সারা বিশ্বের সম্পদ তার সাহিত্যকর্ম সব দেশ ও জাতির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তিনি বিশ্বশান্তির অগ্রদূত। যতদিন বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবহৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দার্শনিক গুরু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম চর্চার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রপ্রেমিক। সাহিত্যের সব শাখায় কবিগুরুর সফল পদচারণা ছিল। তাকে শুধু সাহিত্যিক পরিচয়ে আবদ্ধ রাখা যাবে না, অন্যদিকে তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক। তার সাহিত্যকর্ম মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে কুঠারাঘাত করেছে। তিনি মৌলবাদী ও জঙ্গিদের নিকট আতঙ্ক। জাতিরপিতা রবীন্দ্র দর্শন চর্চা ও অনুশীলন করে আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে কবিগুরুর সাহিত্যকর্ম ও দর্শনকে সবসময় চর্চা করতে হবে।

তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রযেছে - সঙ্গীত, আবৃত্তি, গীতি আলেখ্য, নাটক ও প্রবন্ধ পাঠ। 

অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীসহ জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পরিবেশর করবেন।

মে ৮, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: